বরিশাল প্রতিনিধি/
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির বহুল প্রতীক্ষিত কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা। দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন মো. জসীমউদ্দীন হাওলাদার।
তিনি একাধারে রাজপথের পরীক্ষিত কর্মী, ত্যাগী নেতা এবং রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরসূরি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামোকে নতুনভাবে গতিশীল ও শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনন্য হতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
জসীমউদ্দীন হাওলাদার তার ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কলেজ ছাত্রাবস্থায় তিনি ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিমানবন্দর থানায় যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি কলসকাঠী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সক্রিয় সদস্য।
এছাড়া তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মেধা, সাহসিকতা ও নিঃস্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে বলে মনে করেন তাঁর সহযোদ্ধারা।
কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলনকে সামনে রেখে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জসীমউদ্দীন হাওলাদারকে তাদের প্রার্থী হিসেবে দেখছেন। উপজেলা বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা বলেন, “দলের দুঃসময়ে যারা রাজপথে ছিল, তাদেরই নেতৃত্বে আনতে হবে। জসীম উদ্দিন হাওলাদার তেমনই একজন ত্যাগী ও সাহসী নেতা।”
তৃণমূল কর্মীদের মতে, সাংগঠনিক দক্ষতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং জনসম্পৃক্ততা—এই তিনটি গুণের সমন্বয়ে তিনি এই পদের জন্য উপযুক্ত।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে নিজের অবস্থান তুলে ধরে মো. জসীমউদ্দীন হাওলাদার বলেন,
“প্রয়াত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের আদর্শ ও নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি রাজপথে সংগ্রাম করে যাচ্ছি। সংগঠনকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে আমি বদ্ধপরিকর।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদ ও একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ইউনিয়ন বিএনপিকে গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত করতে চাই। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই দায়িত্ব আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমি বিশ্বাস করি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিজয়ী হব।”
কলসকাঠী ইউনিয়নের বিএনপি কর্মীরা বলছেন, সম্মেলন একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ। এই সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূল বিএনপি শক্তিশালী ও সংগঠিত হয়ে আবারও রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। তাদের প্রত্যাশা, নেতৃত্বে আসবেন সেইসব পরীক্ষিত ও ত্যাগী কর্মীরা, যারা সব সময় দলের সঙ্গে ছিলেন।
এ প্রেক্ষাপটে মো. জসীমউদ্দীন হাওলাদার যেন এই পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে উঠেছেন।