উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার সময় ওই ভবনে কোচিং ক্লাস চলছিল এবং উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন শিক্ষার্থী। ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুরো ভবনে আগুন ধরে যায়। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করে। আহতদের উদ্ধার করে রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কলেজের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দুর্ঘটনার সময় মূল পাঠদান শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাস চলছিল তখন। তিনি বলেন, “ভবনের ভেতরে তখন অনেক শিক্ষার্থী ছিল। আমি এখানে এসেছি আমাদের কতজন ছাত্র-ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তা জানার জন্য।”
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় এখন পর্যন্ত ৮-১০ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদের মধ্যে কেউ গুরুতর নয়। তবে একজন শিক্ষার্থীর মরদেহ ফায়ার সার্ভিসের ব্যাগে করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল সূত্র।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ভিড় জমেছে আহতদের পরিবারের সদস্য ও কলেজের কর্মকর্তাদের। অনেকে আতঙ্কে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও চিকিৎসা প্রস্তুতি নিয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবাহিনী সূত্র। দুর্ঘটনাস্থলে এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
দেশজুড়ে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় শোক ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি পর্যায় থেকেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।