ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় পাটচাষীদের জন্য প্রশিক্ষণের নামে সরকারি অর্থ অপচয় ও লুটপাটের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৬ মে) পাট উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত প্রশিক্ষণে এই অনিয়মের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল পাট অফিস থেকে ৭৫ জন প্রকৃত পাটচাষীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বরাদ্দ পাওয়া যায়। কিন্তু অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান প্রকৃত চাষীদের বাদ দিয়ে অকৃষক ৭৫ জনের একটি নামের তালিকা তৈরি করেন। এরপর তালিকাভুক্ত অনুপস্থিতদের জায়গায় অন্য লোকজনকে বসিয়ে ভুয়া স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়।
প্রশিক্ষণে সরবরাহ করা উপকরণ ছিল নিম্নমানের—দেওয়া হয় ১০ টাকা মূল্যের খাতা, ৫ টাকা দামের কলম এবং মানহীন ব্যাগ। সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের জন্য বরাদ্দ থাকলেও তা ছিল নিম্নমানের এবং অপ্রতুল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করে চলে যাওয়ার পর হলরুম ফাঁকা হয়ে যায়। এরপর কিছু লোক ধরে রেখে ‘দুপুর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ’ চালিয়ে কাগজে-কলমে কার্যক্রম শেষ করা হয়।
এ বিষয়ে পাট কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, “ব্যাগ হেড অফিস থেকে এসেছে। বরাদ্দ কম থাকায় খাবারের মান উন্নত করা যায়নি।” তিনি জানান, প্রশিক্ষণ ভাতা বাবদ জনপ্রতি ৫০০ টাকা এবং খাবারের জন্য ২৫০ টাকা বরাদ্দ ছিল।
উল্লেখ্য, আতাউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে নান্দাইলে কর্মরত এবং প্রতিবছর এই প্রশিক্ষণ ঘিরে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। সরকারিভাবে পাট চাষ বাড়ানোর নানা উদ্যোগ থাকলেও মাঠ পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন নেই বললেই চলে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় কৃষকরা।