মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম
স্টাফ রিপোর্টার
গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে পাওয়া জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর ফলগুলোর মধ্যে জাম একটি অন্যতম। বর্ষার শুরু থেকেই বাজারে পাওয়া যায় রসালো ও গাঢ় বেগুনি রঙের এই ফল। শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও পরিপূর্ণ জাম।
পুষ্টি উপাদান হিসেবেই দারুণ সমৃদ্ধ এই ফলটিতে রয়েছে:
শর্করা: ১৫.৫৬ গ্রাম
পটাশিয়াম: ৭৯ মিলিগ্রাম
ফসফরাস: ১৭ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেশিয়াম: ১৫ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম: ১৯ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম: ১৪ গ্রাম
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় জাম রাখলে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিচে জামের উল্লেখযোগ্য উপকারিতাগুলো তুলে ধরা হলো:
জাম খাওয়ার উপকারিতা:
ভিটামিন ‘সি’-এর উৎস:
জাম শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, বিশেষ করে জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি প্রতিরোধে সহায়ক।চুল, দাঁত ও ত্বকের যত্নে:
জামে থাকা মিনারেলস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ত্বককে করে উজ্জ্বল এবং চুল রাখে সুস্থ।চোখের যত্নে ভিটামিন ‘এ’:
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে জামের ভিটামিন ‘এ’ কার্যকর ভূমিকা রাখে।ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক:
বিশেষত মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে জাম উল্লেখযোগ্যভাবে কার্যকর।রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে:
পটাশিয়াম ও অন্যান্য উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে:
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক জাম, যা রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে উপকারী।কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
ডায়াটরি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় জাম হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরসনে কার্যকর।শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক:
জামে থাকা গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে।উপসংহার:
এতোসব পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকায় গরমকালে জাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে শরীর ও মন থাকবে সতেজ। তবে যেকোনো ফল খাওয়ার আগে ব্যক্তিগত শারীরিক অবস্থা ও পরামর্শ মেনে চলাই উত্তম।