মনজু হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:
হিমালয়ের কন্যা খ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। উত্তরের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিনই ওঠানামা করছে। ফলে শীত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার আগেও তাপমাত্রা ওঠানামা করেছে। সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হিমালয় পাদদেশে হওয়ায় প্রতি বছরই পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরিব-অসহায় মানুষদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। ঠান্ডার কারণে তারা সময়মতো কাজে যেতে পারেন না, ঠিকমতো কাজও করতে পারেন না। পাশাপাশি জেলায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে এবং দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমছে। চলতি মাসজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কুয়াশার ঘন চাদরে ঢাকা থাকার কারণে সূর্যের আলো ভূমিতে না পড়ায় দিনেও শীত অনুভূত হচ্ছে।
জেলা শহরের ভ্যানচালক আব্দুস সামাদ বলেন, “সকালে প্রচণ্ড কুয়াশা আর ঠান্ডা পড়ে। দিনেও মাঝেমধ্যে শীত লাগে, আর সন্ধ্যার পর ঠান্ডা বাড়ে। আমরা গরিব মানুষ, শীতে খুব কষ্ট হয়। এখনই যদি শীতবস্তুর সহযোগিতা পাওয়া যায়, খুব উপকার হবে।”
এদিকে তেঁতুলিয়ার মহানন্দা নদীতে পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, “কয়েকদিন ধরে শীত অনেক বেড়ে গেছে। ঠান্ডা পানিতে কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সকালবেলা কুয়াশা আর শীতের মধ্যেই নদীতে নামতে হয়। আমরা গরিব মানুষ, জীবিকা তো চালাতেই হবে।”
তাপমাত্রা দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।









