
মশিউর রহমান টুটুল (জামালপুর) :
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির বিষয়ে বক্তব্য নিতে গেলে দৈনিক ঢাকা পত্রিকা-এর উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মফিজুলের উপর চড়াও হন চরপুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মো. সামছুজ্জামান (সুরুজ মাস্টার)।
ঘটনাটি সম্প্রতি চরপুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়নের উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক মফিজুলের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের প্রভাবের কারণে মুখ খুলতে সাহস পাননি বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা বলেন, একজন জনপ্রতিনিধির কাছে প্রশ্ন করা সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব, কিন্তু এজন্য হেনস্তা হওয়া স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য বড় হুমকি। তারা অবিলম্বে ঘটনায় জড়িত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মফিজুল বলেন,
“আমি শুধু ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম নিয়ে বক্তব্য নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন ও গালাগাল করেন। সাংবাদিক হিসেবে প্রশ্ন করা আমার দায়িত্ব, কিন্তু এজন্য এমন হেনস্তা মেনে নেওয়া যায় না।”
ইসলামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোরাদুজ্জামান মোরাদ বলেন,
“একজন জনপ্রতিনিধির হাতে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনা দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চাই। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে স্বাধীন গণমাধ্যম হুমকির মুখে পড়বে।”
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান সামছুজ্জামান (সুরুজ মাস্টার)-এর বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।