বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে একটি পূর্বে দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (১৯ মে) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “নুসরাত ফারিয়ার নামে তদন্ত চলমান রয়েছে। যদি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে আইন অনুযায়ী তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, “জুলাই গণহত্যার প্রকৃত অপরাধীদেরই যেন গ্রেপ্তার করা হয় এবং নিরীহ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এ সময় ঈদুল আজহা ঘিরে সরকারের প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। কোরবানির গরুবাহী যানবাহন রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না—সরাসরি নির্ধারিত হাটেই নামাতে হবে। প্রতিটি কোরবানি হাটে ৭৫ জন করে আনসার মোতায়েন থাকবে। ঈদের আগে ও পরের তিন দিন, এমনকি রাতে, বাল্ক পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
শ্রমিকদের বোনাস ও বেতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গার্মেন্টস শ্রমিকদের বোনাস মে মাসের মধ্যেই পরিশোধ করতে হবে এবং আগামী ১ থেকে ৩ জুনের মধ্যে সকল শ্রমিকের বেতন পরিশোধ সম্পন্ন করতে হবে।” তিনি সকলকে অযৌক্তিক দাবিতে রাস্তা অবরোধ না করার আহ্বান জানান।
এর আগে রোববার (১৮ মে) ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইটে উঠতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশনে বাধার মুখে পড়েন নুসরাত ফারিয়া। পরে জানা যায়, রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ সময় সংঘটিত এক সহিংস ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ভাটারা এলাকায় সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন এক ব্যক্তি, এবং সেই ঘটনায় নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা আন্দোলন দমন করতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেন নুসরাত ফারিয়া। ছবিটির পরিচালক ছিলেন ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে দেশে গণ-আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় পরিবর্তন আসে এবং অনেক শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা দেশত্যাগ করেন।
