1. admin@newsgrambangla.com : নিউজ গ্রামবাংলা :
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ শেরপুর পুলিশ লাইন্সে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মধ্যাহ্ন ভোজন অনুষ্ঠিত রংপুরে ‘অর্থের জাদু’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শ্রীবরদীতে শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এডভোকেট এরশাদ আলম জর্জ হিমাগারে মজুত ‘পুষ্টি’র মিষ্টি খেয়ে মৃত্যুর ঝুঁকিতে নগরবাসী – রংপুরে ৬৭৮০ কেজি জব্দ, ২ লাখ টাকা জরিমানা ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের শুভেচ্ছা জানালেন মো. শাজাহান সজল বাকেরগঞ্জে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ সরকারি গাড়িতে কোরবানির গরু পরিবহন, আলোচনায় ইউএনও হা-মীম: “অবৈধ কিছু তুলি নাই” বাঘায় বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বাপার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন জয়পুরহাটে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে অতিরিক্ত টাকা ফেরত পেলেন ৫০ জন ক্রেতা

বকশীগঞ্জে দশানী নদীর ভয়াবহ ভাঙন: নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি

নিউজ গ্রামবাংলা ডেস্ক :
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে
ছবি: প্রতিনিধি

মনিরুজ্জামান লিমন
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির ফলে দশানী নদীতে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। মেরুরচর ও সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আটটি গ্রামে তিন কিলোমিটার জুড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তা ও বাজার।

প্রতিনিয়ত ভাঙনের কবলে পড়ে স্থানীয়রা সর্বস্ব হারাচ্ছেন। নদীভাঙনে মেরুরচর ইউনিয়নের ঘুঘরা কান্দি, আইরমারী মন্দী পাড়া, উজান কলকিহারা, কলকিহারা ও খাপড়া পাড়াসহ সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর আইরমারী, বাংগাল পাড়া এবং বালুগ্রামের বহু পরিবার বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন।

ইতোমধ্যে ঘুঘরা কান্দি বাজার, একটি মসজিদ এবং একটি গ্রামীণ সড়ক নদীতে ধসে পড়েছে। ঝুঁকির মুখে রয়েছে এলজিইডি নির্মিত একটি সেতু, মন্দী পাড়া বাজার এবং শত শত বিঘা ফসলি জমি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের ফলে তীব্র স্রোতে দশানী নদীর দুই তীরেই ভাঙন বেড়েছে। ফলে বসতঘর সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

ভাঙন কবলিত কৃষক শের আলী, মোতালেব হোসেন ও মকবুল হোসেন জানান, প্রতি বছরই ভাঙনের ফলে ঘরবাড়ি ও জমি হারিয়ে দিশেহারা তারা। জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তারা।

মেরুরচর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, “ডাম্পিং কার্যক্রম দ্রুত শুরু না হলে পাঁচটি গ্রাম পুরোপুরি হারিয়ে যাবে।”

বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান সুমন জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ত্রাণ বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ রানা বলেন, “ভাঙনের বিষয়ে আমরা সচেতন আছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে জরুরি সহায়তা দেওয়া হবে এবং ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত নিউজ গ্রামবাংলা-২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট