1. admin@newsgrambangla.com : নিউজ গ্রামবাংলা :
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ০২:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এইচ এম হাসান ইমাম খোকন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের স্বপ্নপূরণের পথে পঞ্চগড়ে শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী ব্যবসা ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ বাকেরগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ, এলাকায় উত্তেজনা নালিতাবাড়ীতে ১ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার শেরপুরে প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনের দায়ে রমজান আলীর ২ মাসের কারাদণ্ড ভারতে পাচারকালে ৬৩ কেজি শিং মাছ জব্দ, শেরপুর সীমান্তে বিজিবির সাফল্য রাজশাহীর বাঘায় ১৭ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি লিটন গ্রেফতার বকশীগঞ্জে সাংবাদিক লিমনের নামে আওয়ামী আইনজীবীর মিথ্যা মামলা, সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানি: অসহায় মানুষের কণ্ঠ শুনলেন ডিসি তরফদার মাহমুদুর রহমান শেরপুরে এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহেল রানা গ্রেফতার

হিমাগারে মজুত ‘পুষ্টি’র মিষ্টি খেয়ে মৃত্যুর ঝুঁকিতে নগরবাসী – রংপুরে ৬৭৮০ কেজি জব্দ, ২ লাখ টাকা জরিমানা

নিউজ গ্রামবাংলা ডেস্ক :
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে
ছবি: প্রতিনিধি

 শরিফা বেগম শিউলী, স্টাফ রিপোর্টার

রংপুরে অভিনব কায়দায় হিমাগারে আলুর পরিবর্তে মজুত করা হয়েছিলো জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘পুষ্টি’-এর মিষ্টি ও দই। ঈদের বাজারে সরবরাহের উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত এসব খাবার ছিল অস্বাস্থ্যকর এবং আইন বহির্ভূতভাবে হিমাগারে রাখা। যার ফলে নগরবাসী ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছিলেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত বুধবার (৪ জুন) রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শহরের ময়নাকুটি এগ্রো কোল্ডস্টোরেজ লিমিটেডে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ফাঁস হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন রংপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জোয়ার্দার আসিফ ইকবাল। অভিযানে ৬৭৮০ কেজি অবৈধভাবে মজুত মিষ্টি ও দই জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি, কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ও ‘পুষ্টি’ মিষ্টির মালিক পক্ষকে ১ লাখ করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

স্টোরেজ কর্তৃপক্ষের ভাষ্য:

ময়নাকুটি এগ্রো কোল্ডস্টোরেজের এক কর্মকর্তা জানান,
“ঐতিহ্যবাহী ‘পুষ্টি’ কোম্পানি তাদের মিষ্টি আমাদের হিমাগারে রেখেছিল। ওনাদের নাকি ঈদের চাহিদা বেশি। আমাদের অনুরোধ করায় আমরা রেখেছিলাম। এটা আমাদের ভুল ছিল।”

প্রশাসনের অবস্থান:

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ ইকবাল বলেন,
“আলুর জায়গায় মিষ্টি রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। দুই পক্ষ তাদের দোষ স্বীকার করেছে। এ ধরনের মজুতকরণ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।”

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বক্তব্য:

সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,
“হিমাগারে রাখা মিষ্টি ও দই স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। মানুষকে ঠকানো হয়েছে। আমরা সেগুলো ধ্বংস করেছি।”

সেনাবাহিনীর পর্যবেক্ষণ:

৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম বলেন,
“ঈদকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে এসব মিষ্টি হিমাগারে রাখা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল ঈদের আগে-পরে বাজারে ছাড়ার। বিষয়টি উদ্বেগজনক।”

উপসংহার:

এই ঘটনায় রংপুরবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের সময়কালে স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ খাবার বাজারে ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ পরিণতি হতে পারত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রশাসন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত নিউজ গ্রামবাংলা-২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট