আবুল হাশেম
রাজশাহী ব্যুরো
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাঘা-চারঘাট উপজেলা সহ দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সাবেক সভাপতি মো. নুরুজ্জামান খান মানিক।
তিনি বলেন, “পশু কোরবানিকে আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য ওয়াজিব করেছেন, আর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য জান ও মাল কোরবানিকে ফরজ করেছেন। কুরবানির এই মহান শিক্ষা শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং তা আত্মশুদ্ধি, আত্মত্যাগ ও তাকওয়ার বাস্তব প্রতিফলন।”
রাজনৈতিক পরিচিতি:
মো. নুরুজ্জামান খান মানিক ১৯৮১-৮৩ সালে রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সম্মানিত সদস্য ছিলেন (সেই সময় মো. সাইফুল ইসলাম মার্শাল ভিপি নির্বাচিত হন)। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত হন। তিনি বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এবং বর্তমান জেলা কমিটির সম্মানিত সদস্য।
শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন,
“ঈদুল আযহার প্রকৃত তাৎপর্য হলো আত্মত্যাগ। আল্লাহর রাহে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মোৎসর্গের ঘটনা আমাদের শিক্ষা দেয় কিভাবে আমরা নিজের নফস, ধন-সম্পদ ও চেতনা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করবো। আল্লাহ বলেন, ‘বলুন, আমার নামায, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও মরণ—all কিছুই আল্লাহর জন্য।’ (সূরা আল-আন’আম: ১৬২)”
তিনি বলেন, “ইসলাম শুধুমাত্র ব্যক্তিগত কিছু ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। যেখানে রয়েছে সমাজনীতি, রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, বিচারনীতি ও অর্থনৈতিক নির্দেশনা। আমাদের প্রয়োজন ইক্বামাতে দ্বীন—অর্থাৎ ইসলামী আদর্শে একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করা।”
সমসাময়িক প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
“দেশবাসী এমন একটি সময় ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন আওয়ামী অপশাসনের পতনের পর নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে সবাই। কিন্তু শুধুমাত্র নির্বাচনই সেই স্বপ্ন পূরণের পথ নয়। যদি সংস্কার, গণহত্যার বিচার, জনগণের অধিকার নিশ্চিত না করা হয়—তাহলে আরও ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ উত্থান ঘটতে পারে।”
তিনি সব দল, মত ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি মুক্ত একটি নতুন, মানবিক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
শেষে তিনি বলেন,
“আসুন, আমরা ঈদুল আযহার প্রকৃত শিক্ষা ধারণ করি, শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে ইব্রাহিম (আ.)-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হই এবং ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিই সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, পরিচ্ছন্ন ও সুশৃঙ্খলভাবে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করি।”