মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম, স্টাফ রিপোর্টার
নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সালের বিরুদ্ধে একটি সালিশি বৈঠকের ছবি ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এমন অভিযোগ তোলেন। তারা জানান, একটি পুরনো ছবি দেখিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ফয়সালকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে দলের ভেতরে ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, “ফয়সাল ছাত্রদল ও যুবদলের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন এবং দলের দুঃসময়ে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। এখন একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটি সালিশি বৈঠকের ছবি ব্যবহার করে হাইকমান্ডের কাছে বিভ্রান্তিমূলক বার্তা দিতে চাইছে। আমরা এই ভিত্তিহীন মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
এ বিষয়ে গোলাম মোমিত ফয়সাল বলেন, “১৯৯৫ সাল থেকে আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০২০ সালে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে আমি একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এরপর একটি সালিশি বৈঠকে আমাকে জোর করে বসানো হয়, যেখানে আমার প্রতিপক্ষের হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতার ছোট ভাই উপস্থিত ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “সেই বৈঠকে তোলা একটি ছবি বর্তমানে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ২০২৫ সালে ছড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে যে আমি নাকি ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলাম। অথচ ছবিটির সময় কোনো নির্বাচনও ছিল না, আর আমি তখন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত একটি মামলায় নিরুপায় হয়ে বৈঠকে যাই। এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ করিয়ে সেটি হোয়াটসঅ্যাপে নেতাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সত্য হলো, নোয়াখালীতে গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতি করে আসছে।”
নোয়াখালী জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট এবিএম জাকারিয়া বলেন, “সামাজিক কারণে সালিশ বা বিয়ের অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাদের যেতে হয়। এমন বৈঠকে আমাকেও যেতে হতো। ফয়সালকে জোর করে বৈঠকে বসানো হয়। মূলত যারা দলীয় মনোনয়ন চায়, তারাই বিভাজন তৈরি করে এসব অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।”