মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৭ মে দিন নির্ধারণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই দিন ধার্য করেন।
গত সোমবার থেকে মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। প্রথমদিন সম্পূর্ণ না হওয়ায় মঙ্গলবার আবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মকুল আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
এই মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতে উপস্থাপিত জব্দ তালিকার সাতটি তালিকার মধ্যে ১২ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্যের মাধ্যমে সত্যায়ন করেছেন। এছাড়া মামলায় তিনটি মেডিকেল সার্টিফিকেট উপস্থাপন করা হয়, যা পাঁচজন চিকিৎসক আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে সমর্থন করেছেন।
মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশু আছিয়া। গুরুতর অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
শিশু আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। স্থানীয় আইনজীবীরাও আসামিদের বিচার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হন এবং আসামিপক্ষকে আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।
মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, যেখানে তিনি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টায় একাই জড়িত বলে স্বীকার করেন। পরবর্তীতে তদন্তে চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
সকল সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর বিচারক এম জাহিদ হাসান আগামী ১৭ মে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন, যা শিশু আছিয়ার পরিবারের জন্য ন্যায়বিচারের অপেক্ষার অবসান ঘটাবে।