বিনোদন ডেস্ক | নিউজ গ্রামবাংলা
সময়টা ২০০০ সালের আশেপাশে। বলিউডে একের পর এক হিট সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তার শিখরে ছিলেন অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। তিনি হয়তো তখনকার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী ছিলেন না, কিন্তু সাহস ও নৈতিকতার দিক দিয়ে ছিলেন অনেকের ঊর্ধ্বে। তার প্রমাণ মিলেছিল এক চমকপ্রদ ঘটনায়—৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া।
২০১১ সালে ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক কামাল আমরোহি প্রীতিকে নিজের ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কারণ, আমরোহির ছেলে শানদার আমরোহি প্রীতিকে অত্যন্ত পছন্দ করতেন। কিন্তু এত বড় সুযোগ পেয়েও প্রীতি সেটি গ্রহণ করেননি। বিনা দ্বিধায় ফিরিয়ে দেন বিশাল এই সম্পত্তি।
২০০১ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে, প্রীতি আরও একটি সাহসিকতার নজির স্থাপন করেন। কুখ্যাত গ্যাংস্টার ছোটা শাকিল তাকে হুমকি দেওয়ার পরেও, তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। যেখানে বলিউডের অনেক তারকাই ভয়ে আদালতের সামনে যেতেই রাজি হননি, সেখানে প্রীতির অবস্থান ছিল সাহসিকতার প্রতীক।
এই ঘটনায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডভানি তাকে সরকারি অস্ত্রধারী নিরাপত্তা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনিও সেই প্রস্তাব বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে প্রীতিকে ‘গডফ্রে ফিলিপস জাতীয় সাহসিকতা পুরস্কারে’ ভূষিত করা হয়।
সবকিছু ছাপিয়ে, মাত্র ৩২ বছর বয়সেই প্রীতি জিনতা অভিনয়জীবন থেকে বিদায় নেন। পরে বিয়ে করে বিদেশে চলে যান। কিন্তু আজও বলিউডের অন্যতম স্মরণীয় এবং সম্মানিত মুখ হিসেবে বিবেচিত হন তিনি।
বর্তমানে প্রীতি আইপিএলের পাঞ্জাব কিংস দলের সহ-মালিক। প্রতিটি ম্যাচেই তাকে দলের জন্য গলা ফাটাতে দেখা যায় মাঠে। অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও তার উপস্থিতি এখনও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।