নিজস্ব প্রতিবেদক:
গোপালগঞ্জ জেলার সাম্প্রতিক অস্থির পরিস্থিতি ও সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ লক্ষ্যে জেলার সর্বত্র আজ (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে আগামীকাল (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২২ ঘণ্টার জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সরকারের প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, “জেলা জুড়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাময়িকভাবে জনচলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।”
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কারফিউ চলাকালীন সময়ে কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না, তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা এর আওতামুক্ত থাকবেন। খাদ্য, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পরিবহন সীমিতভাবে চলাচল করতে পারবে প্রশাসনের অনুমতিক্রমে।
জেলা পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাব সদস্যরাও জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেবেন। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।”
সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারফিউ চলাকালে সাধারণ মানুষকে ঘরে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কেউ আইন অমান্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি গোপালগঞ্জে বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে একাধিক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন এবং জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরেই সরকার এই ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নেয়।
গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের এই উদ্যোগকে অনেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সামাজিক সম্প্রীতি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়ার দাবি উঠেছে নাগরিক মহলে।