আশিকুর রহমান, গাজীপুর:
গাজীপুরের টঙ্গীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের উপস্থিতিতে এক তৈল ব্যবসায়ীর আয়োজিত মানববন্ধন ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে—এই মানববন্ধনের মাধ্যমে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী অংশে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক ছিলেন স্থানীয় তৈল ব্যবসায়ী বজলুর রহমান। স্থানীয়দের দাবি, মানববন্ধনে বজলুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতারাও অংশ নেন। এতে এলাকাজুড়ে রাজনৈতিক মেরুকরণ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিরণ বলেন, “ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম খান দীর্ঘদিন ধরে দলে সক্রিয়। তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মিথ্যা মামলা এবং বিতর্কিতদের দিয়ে মানববন্ধন করানো হয়েছে।”
ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম খান জানান, “আমি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকার কারণে একাধিকবার হয়রানির শিকার হয়েছি। এখন একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ও অপপ্রচার চালিয়ে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করি।”
অন্যদিকে মানববন্ধনের আয়োজক বজলুর রহমান বলেন, “আমার বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মানববন্ধন করেছি। এতে ছাত্রলীগ নেতাদের উপস্থিতির অভিযোগ সঠিক নয়।”
স্থানীয় সূত্র বলছে, মিরাজুল ইসলাম খান গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। পারিবারিক কারণে ব্যবসা দেখাশোনার সময় বজলুর রহমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে কাজ না দেওয়া ও অর্থনৈতিক বিরোধের জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা মারামারিতে রূপ নেয়। এরপর ৩০ জুন বজলুর রহমান টঙ্গী পশ্চিম থানায় মিরাজুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, “মানববন্ধনের বিষয়ে পরে জেনেছি। সেখানে নিষিদ্ধ কোনো ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন কিনা, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”