আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেছেন, ভারতের সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া এতটাই দৃঢ় ছিল যে, “মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের কান্না পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াশিংটনে।”পাঞ্জাব প্রদেশের নারোওয়াল জেলায় একটি উদ্ধারকাজ উদ্বোধনের সময় দেওয়া বক্তব্যে আহসান ইকবাল আরও বলেন, “আমাদের নেতৃত্ব এখন আর দ্বিধায় পড়ে না—হামলা করবো কি না। সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং জবাব দেওয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের হাতে আছে।”
তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও সামরিক দক্ষতার কারণে ভারতের বহু-মিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমানগুলো কার্যত ‘জং ধরা ধাতব টুকরোতে’ পরিণত হয়েছে।
আহসান ইকবালের ভাষায়, “বর্তমান নেতৃত্ব ও সেনাবাহিনী মিলে প্রমাণ করেছে যে যুদ্ধ সংখ্যা দিয়ে নয়, বরং দক্ষতা দিয়ে জেতা যায়।”
এছাড়া পাকিস্তান সরকার সম্প্রতি ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’–এর সাফল্য তুলে ধরে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়, কাশ্মীরের পেহেলগামে ঘটে যাওয়া হামলাটি একটি ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানকে দোষী প্রমাণ করা।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, হামলার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। পরবর্তীতে ভারত বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে ও মুজাফ্ফরাবাদে বিমান হামলা চালায়, যেখানে বেসামরিক নাগরিক ও ধর্মীয় স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এই ঘটনার জবাবে পাকিস্তান সীমিত ও লক্ষ্যভিত্তিক সামরিক প্রতিক্রিয়া দেয়, যা শুধুমাত্র ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় কেন্দ্রীভূত ছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাকিস্তান ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস, এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।
ভারতীয় ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্তে আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
যদিও পেহেলগাম পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে, তবুও ভারতীয় মিডিয়া ঘটনার পরপরই পাকিস্তানকে দায়ী করে। তবে আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যম সেই দাবিতে অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনের শেষে পাকিস্তান জানায়, দেশটি শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পক্ষে, তবে ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
সূত্র: জিও নিউজ