আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ মধ্যরাত থেকে চলা হামলায় আরও অন্তত ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বার্তাসংস্থা আনাদোলুর তথ্য অনুযায়ী, চলমান এই আগ্রাসনে গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার ৫০০ জনে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর ইসরায়েল মধ্যরাতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালায়। এতে প্রাণ হারান আরও ৩৮ জন।
অন্যদিকে আনাদোলুর বরাতে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ১৩৬ জন নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৪৮৬ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত গাজায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৩৯৮ জনে। তবে বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন, যাদের উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ইসরায়েলের নতুন করে হামলা শুরুর পর থেকে ৩ হাজার ৩৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯ হাজার ৩৫৭ জন আহত হয়েছেন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তবে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে আবারও বিমান হামলা শুরু করে তারা।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ভূখণ্ডটির অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিকে, গাজায় চলমান হামলা বন্ধ না হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘জোরালো পদক্ষেপ’ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে, ২২টি দেশ গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতি।
এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া, গাজায় গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলার মুখোমুখি হয়েছে ইসরায়েল।