নিউজ গ্রামবাংলা ডেস্ক
বিশ্ববিখ্যাত স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। সোমবার (১৯ মে) বিষয়টি ফোনকলের মাধ্যমে সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয় এবং পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্টারলিংক তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে বিষয়টি নিশ্চিত করে।ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, “স্টারলিংক অফিসিয়ালি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে ফোন কলে তারা আমাকে জানিয়েছে এবং আজ সকালে এক্স হ্যান্ডেলে সেই ঘোষণাও এসেছে।”
দুটি ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে যাত্রা শুরু
শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ নিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে—
স্টারলিংক রেসিডেন্স: মাসিক খরচ ৬,০০০ টাকা
রেসিডেন্স লাইট: মাসিক খরচ ৪,২০০ টাকা
প্রতিটি সংযোগের জন্য ৪২,০০০ টাকা এককালীন সেটআপ খরচ হবে। তবে এখানে কোনো স্পিড বা ডাটা লিমিট নেই। ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট আনলিমিটেডভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
আজ থেকেই অর্ডার দেওয়া যাবে
ফয়েজ তৈয়্যব জানান, “বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংক চালুর যে প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টা করেছিলেন, তা পূরণ হলো।”
তিনি আরও বলেন, “স্টারলিংকের মাধ্যমে এখন এমন এলাকাগুলোতেও দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছানো সম্ভব হবে, যেখানে এখনো ফাইবার বা অন্য কোনো মাধ্যম নেই। ফ্রিল্যান্সার, এনজিও ও উদ্যোক্তারা নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাবেন। এটি প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য একটি টেকসই সমাধান।”
দক্ষিণ এশিয়ার নতুন বাজারে স্টারলিংক
বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ায় আরও একটি নতুন বাজারে প্রবেশ করল প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা স্টারলিংকের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।