আমিরুল ইসলাম, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গত ক’দিনের অবিরাম বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে। ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অকাল বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে চেল্লাখালী নদীর পানি বারোমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার ওপরে এবং ভোগাই নদীর পানি বিপদসীমার ২৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নদীর পানি আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চেল্লাখালী নদীর বারোমারী পয়েন্টের গেজ পাঠক আলমগীর হোসেন এবং ভোগাই নদীর পৌরসভা পয়েন্টের গেজ পাঠক মুকুল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, গত ৩-৪ দিন ধরে নালিতাবাড়ী উপজেলায় এবং ভারতের মেঘালয়ে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নদীগুলোর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নদী উপচে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে আরো বৃষ্টিপাত না হলে ঢলের পানি ভাটির দিকে সরে যাবে, ফলে বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনা থাকবেনা। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে বোরো ধান কাটতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। মাড়াই ও শুকানোর কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে কৃষকদের ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে। অনেক কৃষক ধান কাটলেও, আবহাওয়ার কারণে অনেক জমির ধান এখনো কাটতে পারেননি। রোদ না থাকায় কাটা ধান শুকাতে না পেরে কৃষকরা চিন্তিত ও দুর্ভোগে রয়েছেন। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, উপজেলার প্রায় ৯৫ ভাগ বোরো ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে। বাকি ৫ ভাগ ধান কৃষকগণ বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার জন্য এখনো কাটতে পারেনি। রোদ না থাকায় কৃষকরা ধান শুকাতে পারছেন না। আশাকরছি আজ-কাল বৃষ্টি থেমে গেলে কৃষকরা অবশিষ্ট ধান কাটাসহ ধান শুকাতে পারবে।