মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি:
“হাতি তো আপনার, আমার ভাষা বুঝবে না। হাতি বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ পেলে, সে আর লোকালয়ে চলে আসবে না—এটাই হচ্ছে বৈজ্ঞানিক কথা। এখানে নতুন কিছু আবিষ্কারের প্রয়োজন নেই।”
এভাবেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে “দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র” পরিদর্শনে গিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেন অর্ন্তবর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দাওধারা গারো পাহাড় এলাকাটি নিয়ে বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে বিরোধ চলমান রয়েছে। বন বিভাগ বলছে, এটি বন্য হাতির আশ্রয়স্থল। সেখানে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করলে হাতির আবাস ধ্বংস হবে এবং তারা লোকালয়ে নেমে এসে মানুষ ও ফসলের ক্ষতি করবে। অন্যদিকে, স্থানীয় জনগণ ও জেলা প্রশাসন সেখানে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে।
পরিদর্শন শেষে মধুটিলা ইকোপার্কে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সভায় তিনি বন্য হাতির আক্রমণে নিহত দুই পরিবারের মাঝে জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বন সংরক্ষক এএসএম জহির উদ্দিন আকন, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা মো. শাহীন কবির, পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান, সহকারী বন সংরক্ষক মো. সাদেকুল ইসলাম খান, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি এবং অন্যান্য রেঞ্জ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, দাওধারা গারো পাহাড়ে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে এলাকাজুড়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে সরেজমিনে দেখতেই উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান ঘটনাস্থলে আসেন।