শাহিন হাওলাদার | বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি (বরিশাল)
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের বসবাস। নদীমাতৃক এই অঞ্চলে জনসংখ্যা অনুপাতে পুলিশের লোকবল কম থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক সময়ই ছিল চ্যালেঞ্জের মুখে। বিশেষ করে সরকার পরিবর্তনের পর মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে মাদক কারবারি, চোর চক্র ও সন্ত্রাসীরা।
তবে অপরাধীদের সেই রাজত্ব বেশিদিন টেকেনি। গত ৫ মে ২০২৫ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন দক্ষ, চৌকস ও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ। তার যোগদানের পর থেকে দৃশ্যত পাল্টে যেতে থাকে বাকেরগঞ্জের আইনশৃঙ্খলার চিত্র।
যোগদানের পরপরই তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেন। সন্ত্রাস, মাদক, চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান। তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন—কোনো অপরাধীর জন্য থাকবে না ছাড়।
ওসি আবুল কালামের কঠোর অবস্থানের কারণে অপরাধীচক্র নানাভাবে তাকে বদলি করার চেষ্টা করে। এমনকি বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ পর্যন্ত করে। কিন্তু তাতে দমে যাননি এই পুলিশ কর্মকর্তা। বরিশাল জেলা পুলিশের নির্দেশনায় তিনি নির্ভীকভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে চলেছেন।
উল্লেখযোগ্য সাফল্যসমূহ:
৮ জুন ২০২৫: আন্তঃজেলা অটোরিকশা চোর চক্রের সদস্য আটক।
১০ জুন ২০২৫: বাকেরগঞ্জ অটোরিকশা চোর চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার।
একাধিক মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী গ্রেফতার।
বিভিন্ন ইউনিয়নে সরাসরি জনসংযোগ ও অপরাধবিরোধী প্রচারণা।
এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই ওসি আবুল কালাম আজাদ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন এবং অপরাধ রোধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। এতে বাকেরগঞ্জের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন:
“আমি ও আমার টিম বরিশাল জেলা পুলিশের অভিভাবক পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। আমরা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে আছি, সঠিকভাবে কাজ না করলে সৃষ্টিকর্তার কাছেও জবাবদিহি করতে হবে। তাই আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি—আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে।”