1. admin@newsgrambangla.com : নিউজ গ্রামবাংলা :
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পাইকগাছায় ক্ষুদ্র চাষী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, চারা ও সার বিতরণ করলো উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বকশীগঞ্জে বিদ্যালয়ের ছয় তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিলেন স্কুলছাত্রী, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ময়মনসিংহ মেডিকেলে রাজশাহীর বাঘায় এইচটিআই’র উদ্যোগে ৩২৫ শিক্ষার্থীর জন্য ফ্রি দাঁতের চিকিৎসা ও সচেতনতামূলক ক্যাম্প বরিশালে শ্রমিক দলের আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিল, সরকারের নির্লিপ্ততায় ক্ষোভ প্রকাশ নান্দাইলে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে বৃক্ষ মেলা ও রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন ইউএনও সারমিনা সাত্তার নান্দাইলে অলি মাহমুদ হেফজুল উলুম মাদ্রাসা পরিদর্শনে ইউএনও সারমিনা সাত্তার, শিক্ষার্থীদের মাঝে ভবিষ্যতের আলেম ও দেশসেবক দেখেন তিনি পঞ্চগড়ে স্বামীকে হ’ত্যা’র অভিযোগে স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অপেক্ষায় পুলিশ ঝিনাইগাতীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ভাগিনীকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করলেন খালু, আলামত নষ্টে নার্স জড়িত – ধর্ষক গ্রেফতার উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্ত, দেড়শ শিক্ষার্থীর হতাহতের আশঙ্কা বকশীগঞ্জে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির তালিকা বাতিল ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

দিগুন লাভের আশায় কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে হরমোন — বিপর্যস্ত রাজশাহীর আমচাষ!

নিউজ গ্রামবাংলা ডেস্ক :
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে
ছবি প্রতিনিধি

আবুল হাশেম, রাজশাহী ব্যুরো:

রাজশাহীর খ্যাতনামা আম উৎপাদন এখন হুমকির মুখে। অধিক ফলনের আশায় গাছে মাত্রাতিরিক্ত হরমোন প্রয়োগ করায় আম গাছ মরে যাচ্ছে, আম ধরছে না, এমনকি অনেক বাগান কেটে ফেলা হচ্ছে।
চারঘাট ও বাঘা উপজেলার আমচাষিরা জানান, ‘প্যাকলোবুট্রাজল’ নামের হরমোন ব্যবহার করে প্রাথমিকভাবে বেশি মুকুল ও গুটি এলেও পরে তা ধরে রাখতে পারছে না গাছ। এতে বাগান নষ্ট হচ্ছে এবং চাষিরা পড়ছেন চরম ক্ষতির মুখে।


পাকুড়িয়ার আমচাষি হাফিজুর রহমান জানান, দুই বছরের জন্য তার বাগান লিজ দিলেও শর্ত না মেনে লিজধারী গোপনে হরমোন প্রয়োগ করেন। এতে এ বছর আম টেকেনি, বরং ১৩টি গাছ মারা গেছে।


ZBNF এর জরিপ বলছে, গত এক বছরে রাজশাহীর চারঘাটে ৩৭ হেক্টর ও বাঘায় ৩৯ হেক্টর আমবাগান হরমোনে ক্ষতিগ্রস্ত। ৭ হাজার ৬০০টি গাছ ইতোমধ্যে মারা গেছে।


বাঘার আম ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, “দুই বছরের জন্য লিজ নিয়ে বিনিয়োগ ফেরত পেতে হরমোন ব্যবহার করতেই হয়। ক্রেতারাও সুন্দর সাইজ ও রঙ চায়।”


রাজশাহীর ৯ উপজেলায় রয়েছে প্রায় ১৯ হাজার ৬০০ হেক্টর আমবাগান। গত দুই বছরে প্রায় ১৪০ হেক্টর জমির গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, “চাষিরা প্রশিক্ষণ ছাড়াই হরমোন ব্যবহার করছেন, এতে গাছের দারুণ ক্ষতি হচ্ছে।”

রাজশাহীর আম শিল্পে ‘দিগুন লাভ’ এর মোহে পড়ে হরমোন এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশিক্ষণহীন ব্যবহারে গাছ মরছে, উৎপাদন কমছে, ক্ষতির মুখে পড়ছেন চাষি ও ব্যবসায়ী উভয়ই। প্রয়োজন এখন সচেতনতা, প্রশিক্ষণ এবং কঠোর নিয়ন্ত্রণ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত নিউজ গ্রামবাংলা-২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট