নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জাতীয় সনদ চাপিয়ে দেওয়া হবে না, বরং সম্মতির ভিত্তিতে বাস্তবায়নের দিকেই এগোচ্ছে কমিশন। সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ দিনের মধ্যেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৬তম দিনের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা জোর করে কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। অধিকাংশ বিষয়ে এখন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মৌলিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। এখন শুধু দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টিই বাকি। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই আমরা চূড়ান্ত রূপরেখায় পৌঁছাতে চাই।”
কমিশনের সদস্য হিসেবে এদিন আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সফর রাজ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় সনদ প্রণয়নের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক চুক্তির ভিত্তি তৈরির উদ্দেশ্যে কমিশন কাজ করছে। আলোচনার এই অগ্রগতি রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।