মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম
স্টাফ রিপোর্টার
নোয়াখালী জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে খুন, গুম, অস্বাভাবিক মৃত্যু, ও অপরাধ প্রবণতার আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রমতে, একের পর এক হত্যাকাণ্ড, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, অপহরণ, সড়ক দুর্ঘটনা, ও কিশোর গ্যাং-সংশ্লিষ্ট সহিংস ঘটনার ফলে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব অপরাধ প্রতিরোধে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানা গেছে।
সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনা:
৭ মে চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নে ৫৫ বছর বয়সী তাহেরা বেগমকে নিজ ঘরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
১৫ মার্চ একই ইউনিয়নে যুবদল নেতা জাবেদ নিখোঁজ হন, এখনো কোনো সন্ধান মেলেনি।
৭ মে সেনবাগে মসজিদের ইমামকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে।
২৮ এপ্রিল বেগমগঞ্জে যুবদল নেতা শাকিলকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
২ মে ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমানকে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হতে হয়।
৩০ এপ্রিল এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ ওঠে।
আরও বেশ কিছু এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে।
এইসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত অধিকাংশ মামলায় কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, “গুপ্ত হামলা ও সহিংসতার তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ নবী বাবু বলেন, “বিএনপি নেতাকর্মীরা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।”
উপসংহার
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সচেতন মহলের আহ্বান—জেলার অপরাধ পরিস্থিতির উন্নয়নে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।