শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ধোবারচর গ্রামের মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (১২)-কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১০ মে) সকালে জেলা শহরে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভিকটিমের বড় বোন মোছা. সাজেদা পারভীন। তিনি জানান, একই এলাকার রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের সঙ্গে তাদের পরিবারের জমিসংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের। পূর্বের কয়েকটি ঘটনায় তার বাবা খলিলুর রহমান সহ পরিবারের সদস্যরা হামলার শিকার হয়েছিলেন এবং একাধিকবার গ্রামীণ সালিশও হয়েছিল।
সাজেদা পারভীনের অভিযোগ, গত ৭ এপ্রিল সকাল ৬টার দিকে রফিকুল ইসলাম গং পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ছোট ভাই আবু বক্কর সিদ্দিককে বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে অপহরণ করে। পরে ভিকটিমকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। একইসাথে অপহরণকারীরা ফেইক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে পরিবারের কাছে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরদিন রাতে শেরপুর সদর উপজেলার একটি ধানখেতে অচেতন অবস্থায় আবু বক্করকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর সদর হাসপাতাল এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এই ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই আশরাফুল হক বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, শেরপুর-এ রফিকুল ইসলাম ও আরও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর: ১৩৪/২০২৫)। মামলাটির তদন্তভার বর্তমানে পিবিআই-এর কাছে রয়েছে।
এ বিষয়ে পিবিআই-এর উপ-পরিদর্শক জাহিদুল হক জানান, ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্ত কার্যক্রম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাজেদা পারভীন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।