ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলার ৭৭.৭০ কিলোমিটার স্থল ও নদী সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের টহল জোরদার করেছে। এতে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার মধ্যে ৭৩.০৫ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত এবং ৪.৬৫ কিলোমিটার নদী সীমান্ত রয়েছে। এই বিশাল সীমান্ত রক্ষায় ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) এর আওতায় ১৬টি বিওপি ক্যাম্পের মাধ্যমে টহল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
সীমান্তবর্তী উপজেলার হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ীর বাসিন্দারা জানান, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের জের থাকলেও এই সীমান্তে এখনো স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আগের লাল হ্যালোজেন লাইটের পরিবর্তে উজ্জ্বল এলইডি লাইট, ক্যামেরা এবং সেন্সর ব্যবহার করছে, যা স্থানীয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নের (৩৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মাদ সানবীর হাসান মজুমদার জানান, সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার করা হয়েছে। টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে কড়া নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলা প্রশাসকগণ জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে বিজিবি সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তারা।