আবুল হাশেম, রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের মালিয়ানদহ গ্রামে শুক্রবার (১৬ মে) গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে মারা গেছে তিনটি গরু এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরের আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল। প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত আনুমানিক ১:১৫ মিনিটে শামীম হোসেন ও সানারুল ইসলামের বাড়িতে আগুন লাগে। ধারণা করা হচ্ছে, গরুর ঘরে জ্বলন্ত মশার কয়েল থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আগুনের ভয়াবহতায় পাঁচটি কক্ষ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। গরুর ঘরে থাকা তিনটি গরু আগুনে পুড়ে মারা যায়।
প্রতিবেশীরা জীবন ঝুঁকি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। সময়মতো ফায়ার সার্ভিস না এলে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারত আশপাশের আরো বাড়িতে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর একটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত শামীম হোসেন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই সব পুড়ে গেছে। তার প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বেঁচে যাওয়া একটি গরু মাংস ব্যবসায়ীর কাছে মাত্র ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে। সানারুল ইসলামও প্রায় সমপরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন এবং আশ্বস্ত করেন দ্রুত ঢেউটিন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাঘা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবলু এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
স্টেশন অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মশার কয়েল থেকে আগুন লেগেছে। তবে সঠিক কারণ নিশ্চিত করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন। তিনি বলেন, “দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়েনি, যা বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছে।”