আশিকুর রহমান, গাজীপুর:
টঙ্গীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে এক যুবকের পা হারানোর মামলায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা বশির হাওলাদার প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমনে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
২০২৪ সালের ২০ জুলাই গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন রাজু (৩০), পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। গুলির আঘাতে তার ডান পা কেটে ফেলতে হয়। ঘটনার পরদিন রাজুর মা মোছা. আলেয়া বেগম টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১০, ২১/০৯/২০২৪)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকায় ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ, পিস্তল কবির, যুবলীগ নেতা বিল্লাল মোল্লা এবং বশির হাওলাদারসহ ৪০-৫০ জন দুষ্কৃতিকারী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। গুলি করে রাজুর হাঁটুতে আঘাত করা হয়, যার ফলে তার ডান পা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলতে হয়।
এজাহারে থাকা অন্যান্য আসামিরা গা-ঢাকা দিলেও বশির হাওলাদার এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদের ছত্রছায়ায় থাকা বশির টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে বিএনপি সমর্থক পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্নীতি, জমি দখল, চাঁদাবাজি ও মাদকের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মামলার বাদী আলেয়া বেগম বলেন, “আমার ছেলে রাজুকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছিল। তার পা কেটে ফেলতে হয়েছে। অথচ মামলার অন্যতম আসামি বশির হাওলাদার প্রশাসনের সামনে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?”
এদিকে স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।