মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি:
৩১ দফা বাস্তবায়ন এবং ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে জনসমর্থন আদায়ে মাঠে নেমেছেন শেরপুর-১ আসনের সাবেক ধানের শীষ প্রার্থী, শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেত্রী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সদর উপজেলার চরপক্ষীমারি, বলায়েচর, চরমোচারিয়া ও লছমনপুর ইউনিয়নে গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেন তিনি। অন্তত ৮টি পৃথক পথসভায় তিনি বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চাই—এটাই বিএনপির অবস্থান। নির্বাচন এখন জনতার দাবি। বিগত চারটি নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। নির্বাচনের নামে তামাশা করেছে আওয়ামী লীগ, দিনের ভোট রাতে নিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “২০১৮ সালে আমি শেরপুর-১ আসনে নির্বাচন করেছিলাম। আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে রাতে নৌকায় সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়। মাত্র এক ঘণ্টার ভোটে আমি ত্রিশ হাজার ভোট পেয়েছিলাম। আওয়ামী লীগের অত্যাচারে আমরা কারো সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলতে পারতাম না। কারো সঙ্গে কথা বললেই মামলা দেওয়া হতো।”
ডা. প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, “ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনের দাবি শুধু বিএনপির একক দাবি নয়, দেশের ৯০ শতাংশ রাজনৈতিক দল এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন চায়। এরপর রমজান, পরীক্ষাসমূহ, ঘূর্ণিঝড় ও আবহাওয়ার প্রতিকূলতা চলে আসবে—তাই নির্বাচন পেছানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।”
তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কেউ মাঠে, কেউ ধানক্ষেতে রাত কাটিয়েছেন। এত ত্যাগ-তিতিক্ষার পর দল এখন আরও শক্তিশালী হয়েছে। এই ত্যাগই দলের বড় শক্তি।” শেরপুরে উন্নয়নের জন্য তিনি গ্রুপিং নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
গণসংযোগে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ্ব হযরত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাশেম আহমেদ সিদ্দিকী বাবু, সাধারণ সম্পাদক নাইম হাসান উজ্জ্বল, সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক পারভেজ আহমেদ, শহর যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দেশের সর্বকনিষ্ঠ এমপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা। সে সময় আওয়ামী লীগের হামলা-ভাংচুর উপেক্ষা করে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে সারাদেশে আলোচিত হন তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে তিনি এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন।