আবুল হাশেম, রাজশাহী ব্যুরোঃ
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী কাসেমুল উলূম ক্বওমী মাদ্রাসায় শ্রেণি শিক্ষক বেলাল ক্বারীর বেদম মারধরে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল রহমান গুরুতর আহত হয়ে প্রায় পঙ্গু হয়ে পড়েছে। চিকিৎসকদের মতে, তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে জরুরি অপারেশন প্রয়োজন, যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।
আব্দুল রহমান বাউসা ইউনিয়নের চক-বাউসা গ্রামের কৃষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং মক্তবশ্রেণীর শিক্ষার্থী। গত ৩ মে মাদ্রাসা থেকে ফোন পেয়ে তার বাবা আড়ানী বাজারের একটি ফার্মেসিতে গিয়ে ছেলেকে অচেতন ও হাত-পা বাঁকা অবস্থায় পান। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে কিছু না বললেও পরে স্বীকার করে, পড়া না পারায় শিক্ষক বেলাল ক্বারী তাকে মারধর করেন।
প্রথমে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকেরা জানান, সে কোমায় ছিল। পরবর্তীতে রাজশাহী ও ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানান, তার ঘাড়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে, ফলে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। অপারেশন ছাড়া তার সুস্থ হয়ে ওঠা অসম্ভব।
অসহায় বাবা জাহাঙ্গীর আলম জানান, চিকিৎসা ব্যয় বহন করার সামর্থ্য তার নেই। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে এবং কোনো সহায়তা দিচ্ছে না।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। অভিভাবক ও স্থানীয়রা দ্রুত তদন্ত করে দোষী শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।