নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা হবে।”
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক, সুধীজন ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আজাদ মজুমদার বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত অস্থির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে সক্রিয় রয়েছে। ইতোমধ্যেই রাজধানীর আলোচিত সোহাগ হত্যাকাণ্ডে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা সরকারের দায়বদ্ধতার প্রমাণ।”
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে—“নির্বাচনের আগে কিংবা পরে কোনো ধরনের সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলতা সহ্য করা হবে না। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।”
উপ-প্রেস সচিব আশ্বস্ত করে বলেন, “আমরা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। এই সরকার একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছে। দেশবাসী এবার একটি স্বচ্ছ ভোট দেখবে।”
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা আগের মতো কোনো বাধা ছাড়া সংবাদ পরিবেশন করতে পারবেন। সরকার গঠনমূলক সমালোচনায় বিশ্বাসী। তাই মিডিয়াকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে, যাতে তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে উপ-প্রেস সচিব বলেন, “আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো বাতিল করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন কার্যকর করা হয়েছে। এখানে হ্যাকিং বাদে সকল অপরাধ এখন জামিনযোগ্য। এটি একটি বড় পদক্ষেপ যা জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করবে।”
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আক্তার, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে সাংবাদিক, প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি।