এস এম শামীম হাসান মহাদেবপুর প্রতিনিধি শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাঠে মাঠে সোনালী ধান কাটার উৎসব লেগেছে। উপজেলার প্রধান অর্থকরী কৃষি পুণ্য হিসেবে অর্থনীতিতে ধান উৎপাদন ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। পাকিস্তান আমল থেকে এই উপজেলায় ধান চাষ শুরু হলেও স্বাধীনতার পরবর্তী সরকারগুলো এখানে আধুনিক সেচের ব্যবস্থা করে যা ইরি বোরো চাষের জন্য উপজেলার মাঠ গুলো অন্যতম হয়ে ওঠে।দেখা গেছে উপজেলার মাঠে মাঠে পাকা ধানের সমারোহ।চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের ধান এখন ঘরে তোলার ব্যস্ততা।কৃষক ও শ্রমিকরা সকাল-সন্ধ্যা পরিশ্রম করে জমি থেকে সোনালী ধান ঘরে তুলছেন।কেও ধান কাটছেন কেও তা পরিবহন করছেন আবার কেও মাড়াই কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,এ বছর মহাদেবপুর উপজেলায় ইরি-বোরো মৌসুমে মোট ২৮ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছে কৃষকরা।এর মধ্যে উফশী জিরাশাইল ৬৮৫০ হেক্টর,কাটারী ১৪৮৫১ হেক্টর,সম্প কাটারী ৬৫০ হেক্টর,ব্রিধান ২৮-১৫০ হেক্টর, ব্রিধান ৮৯-৭৩০ হেক্টর,ব্রিধান ৯০-২৪৫০ হেক্টর, গোল্ডেন আতব ১০৫০ হেক্টর ও হাইব্রিড ধান ২২০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। উপজেলার ভীমপুর ইউপির সরস্বতীপুর গ্রামের কৃষক হান্নান জানান,চলতি ইরি মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ধান কাটার কাজে কোন বিঘ্ন ঘটেনি একই সঙ্গে শ্রমিক সংকট না থাকায় সহজেই ফসল ঘরে তুলতে পারছেন তারা।আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার মাহাবুবুর রহমানের সাথে কথা বললে জানান,আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সব ধরনের সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি যাতে তারা তাদের কষ্টের ফসল সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে পারে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ জানান,চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ধানের ফলন ভালো ও দাম ভালো পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।