আবুল হাশেম, রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহীতে এক পরিবারের জমি জবরদখল করে রেখেছে সন্ত্রাসী বাহিনী। জমি দখলমুক্ত করতে গেলে তাদের উপর চালানো হয় বেদম মারধোর। এই মারধোরের মধ্যে পরিবারের নারীরা বাদ পড়েনি। এরপর গ্রাম্য শালিসে ঐ সন্ত্রাসীরা জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারলে জমি দখলমুক্ত করতে বলেন গ্রাম্য মাতবররা।
কিন্তু, তারপরও পরিবারের উপর চড়াও হয় এবং পতিত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জমির জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে ১৭০ নম্বর আসামী হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ঐ পরিবারের সদস্য জালাল উদ্দীন (৪৫)।
সোমবার (১২ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী পরিবারটির সদস্যরা, তাদের দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভূক্তভোগী জালাল উদ্দীনের স্ত্রী আসমা খাতুন জানান, “আমাদের জমি জবরদখল করার পর তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের নানাভাবে নাজেহাল করে। তারা আমাদের মারধোর করে, আমাদের জীবনধ্বংস করার চেষ্টাও করে।”
আসমা খাতুন আরও বলেন, “আমরা অনেক চেষ্টা করেছি প্রশাসনের কাছে আমাদের মামলা তুলে ধরতে, কিন্তু তারা আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। শেষে, গ্রাম্য শালিসে আসামীদের কোন কাগজপত্র না থাকার পরেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায়, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের সমস্যার প্রতিকার ও বিচার দাবি করছি। আমাদের জীবনধন হয়ে গেছে, আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে।”
এটি এখনো সুরাহা না হওয়া এক ভুক্তভোগী পরিবারটির দীর্ঘ সংগ্রামের কাহিনী, যেখানে জমি জবরদখল, মারধোর, এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার মাধ্যমে পুরো পরিবারকে বিপদে ফেলা হয়েছে।