মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় সেনা সদস্য শাকিল হোসেন শান্ত ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনটি শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের দক্ষিণ কান্দুলী বাজারে অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন এবং ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন।
মানববন্ধনে মাওলানা সিরাজি, শরিফ রব্বানী ও আব্দুল হান্নানসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা জানান, গত ৬ জুলাই দক্ষিণ কান্দুলী গ্রামে সীমানার প্রাচীর নিয়ে জুয়েল পরিবারের সঙ্গে দ্বন্ধের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। এরপর ছুটিতে আসা সেনা সদস্য শাকিল হোসেন শান্তের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ দল জুয়েল পরিবারের বাড়ি ভাংচোরসহ হামলা চালায়। এর ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত এবং প্রতিবাদ করলেও তারা হামলার শিকার হচ্ছেন।
বক্তারা বলেন, “সেনা সদস্য এবং তার পরিবারের হাতে এই হামলা ও ভাঙচুর এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিঘ্নিত করেছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এখন বিঘ্নিত হয়েছে। আমরা দাবি করছি, এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দ্রুত বিচার করা হোক এবং অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।”
এলাকাবাসী আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের ঘটনা এলাকায় আবারও বেড়েছে। সেনা সদস্যের পরিচিতি ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ ভাবে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে অবৈধ ও সহিংস কাজ করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই ধরনের অরাজকতা বন্ধ করতে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসী অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “আমাদের দাবী যেন যেন দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।”
মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির পাশাপাশি ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই এবং সবাইকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।”
এদিকে, সেনাবাহিনী বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি মান্য করে তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন।
সারসংক্ষেপ:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সেনা সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সীমানা নিয়ে সংঘর্ষ ও হামলার অভিযোগে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। তারা ওই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। প্রশাসনের প্রতি সতর্ক করে দেয়া হয় যেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়।