বক্তাদের দাবি—আওয়ামী অপশাসনের দেউলিয়াত্ব আজ স্পষ্ট, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজশাহী:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি পদদলিত করা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বোমা হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল ৫টায় রাজশাহীর কেন্দ্রীয় ভুবনমোহন পার্ক থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিলটি। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাটার মোড়ে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দপ্তর সম্পাদক সৈকত পারভেজ।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রাসেল মাহমুদ।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মীর তারেক। এছাড়াও মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, “বর্তমান সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলেই বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মামলা ও রাজনৈতিক নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। জিয়াউর রহমানের ছবিতে পা দেওয়া এবং বেগম খালেদা জিয়াকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় অপমান করাও সেই অপশাসনেরই অংশ।”
তারা আরও বলেন, “আওয়ামী অপশাসনের বিরুদ্ধে দেশের প্রতিটি মানুষ আজ জেগে উঠেছে। জনগণই এই অপশাসনের যোগ্য জবাব দেবে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বোমা হামলা করছে, আর প্রশাসন চুপ করে আছে।”
বক্তারা বোমা হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একইসঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধেরও দাবি জানান।
বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে পুরো এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের কর্মসূচি আগামী দিনে রাজনীতিতে উত্তেজনা আরও বাড়াবে এবং বিরোধী দলের উপর ক্রমবর্ধমান দমননীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়তে পারে।