1. admin@newsgrambangla.com : নিউজ গ্রামবাংলা :
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পাইকগাছায় ক্ষুদ্র চাষী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, চারা ও সার বিতরণ করলো উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বকশীগঞ্জে বিদ্যালয়ের ছয় তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিলেন স্কুলছাত্রী, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ময়মনসিংহ মেডিকেলে রাজশাহীর বাঘায় এইচটিআই’র উদ্যোগে ৩২৫ শিক্ষার্থীর জন্য ফ্রি দাঁতের চিকিৎসা ও সচেতনতামূলক ক্যাম্প বরিশালে শ্রমিক দলের আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিল, সরকারের নির্লিপ্ততায় ক্ষোভ প্রকাশ নান্দাইলে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে বৃক্ষ মেলা ও রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন ইউএনও সারমিনা সাত্তার নান্দাইলে অলি মাহমুদ হেফজুল উলুম মাদ্রাসা পরিদর্শনে ইউএনও সারমিনা সাত্তার, শিক্ষার্থীদের মাঝে ভবিষ্যতের আলেম ও দেশসেবক দেখেন তিনি পঞ্চগড়ে স্বামীকে হ’ত্যা’র অভিযোগে স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অপেক্ষায় পুলিশ ঝিনাইগাতীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ভাগিনীকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করলেন খালু, আলামত নষ্টে নার্স জড়িত – ধর্ষক গ্রেফতার উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্ত, দেড়শ শিক্ষার্থীর হতাহতের আশঙ্কা বকশীগঞ্জে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির তালিকা বাতিল ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বকশীগঞ্জে দশানী নদীর দুই বাঁধ অপসারণ, কৃষকের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে

নিউজ গ্রামবাংলা ডেস্ক :
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫
  • ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

মনিরুজ্জামান লিমন, বকশীগঞ্জ (জামালপুর):

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার দশানী নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ফেরাতে চর আইরমারী ও খাপড়া পাড়া এলাকায় স্থানীয়ভাবে নির্মিত দুটি বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২ মে) বিকেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে এই বাঁধগুলো ভেঙে ফেলা হয়। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে নদীর উজানের অন্তত ২০টি গ্রামের শত শত কৃষকের মাঝে।

নদীর পানি আটকে পড়ায় উজানের ফসলি জমিতে পানির জমে থাকা, আধাপাকা ধান পচে যাওয়ার আশঙ্কায় কৃষকদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বাঁধ অপসারণের ফলে এসব জমির পানি সরে গিয়ে ধান ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী দেওয়ানগঞ্জের চর আইরমারী ও খাপড়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই নদীর দুই পাশে বাঁধ নির্মাণ করেছিলেন। তাদের দাবি ছিল, এই বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদী ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হবে। তবে এর ফলে নদীর স্বাভাবিক স্রোতপথ বন্ধ হয়ে যায় এবং উজানের বিস্তীর্ণ জমিতে পানি জমে গিয়ে ফসল বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দেয়।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষকরা বাঁধ সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ মে প্রশাসনের একটি দল যৌথ অভিযান চালায়। কিন্তু বাঁধ অপসারণ করতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়ে প্রশাসন। সে সময় ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুইজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

পরদিন স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় বসে আলোচনা সভা। দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে বাঁধ নির্মাণকারী এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁধ সরিয়ে নিতে সম্মত হন। শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বাঁধ অপসারণের কাজ। অবশেষে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।

নদীর পানিপ্রবাহ পুনরুদ্ধার হওয়ায় উজানের চরাঞ্চলের কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। অনেকে জানান, দেরিতে হলেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং স্থানীয় নেতৃত্বের সমঝোতায় বড় ধরনের ফসলের ক্ষতি থেকে তারা রক্ষা পেয়েছেন।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা বলেন, “দশানী নদীর ওপর দুটি বাঁধ স্থানীয়ভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে উজানের একাধিক গ্রামের কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে যায়। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেছি এবং আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়েছে। বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। এখন নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরেছে।”

তিনি আরও জানান, “দীর্ঘমেয়াদে নদীভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে টেকসই ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।”

অন্যদিকে, নদীপারের খাপড়া পাড়া ও চর আইরমারীর কিছু বাসিন্দা বাঁধ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, তারা নিজেদের ঘরবাড়ি রক্ষার জন্যই বাঁধ নির্মাণ করেছিলেন। এখন নদীর স্রোতে ভাঙনের আশঙ্কা বেড়েছে।

তবে প্রশাসন জানিয়েছে, নদীভাঙন রোধে সবপক্ষের কথা বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খোঁজা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেওয়া হবে।

এই ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে নদী ব্যবস্থাপনার জটিলতা ও সমন্বয়ের ঘাটতি প্রকাশ করেছে, যা ভবিষ্যতে উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত নিউজ গ্রামবাংলা-২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট