নারায়ণগঞ্জ, ৯ মে:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আটক চেষ্টার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তার বাসভবনের সামনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর শহরের দেওভোগ এলাকার ‘চুনকা কুটির’ নামক বাসার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আইভীকে আটকের গুঞ্জনে শত শত মানুষ তার বাড়ির সামনে সমবেত হন এবং “আইভী আপার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে”– এমন বিভিন্ন স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন। বাড়ির গেটের দুই দিক বাঁশ, ভ্যানগাড়ি ও ঠেলাগাড়ি দিয়ে আটকে দেন এলাকাবাসী, যাতে বাইরে কেউ প্রবেশ করতে না পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি দল বাসভবনে প্রবেশ করে। এ সময় আশপাশের মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানানো হয়। পরবর্তীতে পুলিশ সদস্যরাও ঘরের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বলে জানা যায়।
তবে এ বিষয়ে এখনও পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গুলিতে নিহত এক পোশাকশ্রমিকের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আরও ১৩২ জনের নাম উল্লেখসহ শতাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও অভিযুক্ত করা হয়।
আইভী ২০০৩ সালে পৌরসভার চেয়ারম্যান, পরে ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনবার মেয়র পদে জয়ী হন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে গত আগস্টে তাকে অপসারণ করা হয়। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও তিনি ‘পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ’ হিসেবে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন।