মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামে শতাধিক একর জমির বোরো ধান চিটায় পরিণত হয়েছে। দূর থেকে দেখে মনে হলেও ক্ষেতভরা সোনালি ধান, আসলে এসব ক্ষেতের বেশিরভাগ ধানই চিটা — যা কৃষকদের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলছেন, স্থানীয় ডিলার এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও ফসলকে মাজরা পোকা থেকে রক্ষা করা যায়নি। তাদের মতে, দায়-দেনা করে জমি চাষ করলেও ফলন শূন্য হওয়ায় পরিবার চালানো ও ঋণ পরিশোধ এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, গেলো বছর পাহাড়ি ঢলে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির পর কৃষকরা বোরো ধানে নতুন করে আশাবাদী হন। সেই আশায় ঝিনাইগাতীর ডেফলাই গ্রামের অন্তত ৫০ জন কৃষক ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার হাইব্রিড সীডস এর ‘জনক রাজ’ জাতের বীজ ব্যবহার করে চাষ শুরু করেন।
প্রথমে মাঠ দেখে মনে হয়েছিল ভালো ফলন হবে। কিন্তু ধানের থোড় বের হওয়ার সময় হঠাৎ করেই মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। কীটনাশক ব্যবহার করেও রক্ষা করা যায়নি ধান — ফলাফল, অধিকাংশ জমির ধান পুরোপুরি চিটা হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান,
“ডিলার আর কৃষি বিভাগের কথা শুনে অনেক টাকার ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলাম। কিন্তু এখন চিটা ছাড়া কিছু নেই। আমরা এখন ঋণ শোধ করবো কীভাবে?”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন,
“মাজরা পোকা দমনে কৃষকদের বাজারের ভালো কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল এবং উপসহকারী কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
তবে সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছে—
এই চরম ক্ষতির জন্য দায়ী কে? স্থানীয় ডিলার, কৃষি বিভাগ নাকি বীজ কোম্পানি?
স্থান: ঝিনাইগাতী, শেরপুর
ক্ষতি: শতাধিক একর জমির ধান চিটা
কারণ: মাজরা পোকার আক্রমণ
ক্ষতিগ্রস্ত: প্রায় ৫০ জন কৃষক
বিবৃতি: কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়েছে, দায় স্বীকার করেনি